সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 06:46:40 pm, 2022-09-27 | দেখা হয়েছে: 201 বার।
নিউজ ডেস্কঃ শেরপুর সদর উপজেলার ১১নং বলাইরচর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ নানান অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার গোষ্ঠীর লোকজন সহ এলাকাবাসী। ২৮ সেপ্টেম্বর( মঙ্গলবার) দুপুর ১১টার বলাইরচর ইউনিয়নের চকসাহাব্দী পূর্ব পাড়া মাদ্রাসার সামনে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন। এসময় ঝাড়ু, জুতা, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে ওই যুবলীগ নেতার অত্যাচার বন্ধকরণ, যুবলীগের পদ থেকে তাকে অপসারণ, থানায় দালালী বন্ধ করা সহ বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এলাকাবাসীর পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মোঃ সুলতান মিয়া, হাজি দুলাল উদ্দিন, মোঃ মানিক মিয়া, ওহাদ আলী, মোহাম্মদ আলী, মুন্তাজ আলী, ফয়জুর রহমান বাচ্চু, জয়নাল আবেদিন, মোঃ শাহালী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর ছুবাহান, বেলায়েত হোসেন, ওলী মহমুদ, মোছাঃ রোকেয়া আক্তার প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, এমন কোন জঘন্যতম কাজ নেই যে যুবলীগ নেতা খোরশেদ করে না। এলাকায় পরিবারিক সমস্যা সহ যে কোন সমস্যা হলেই সেখানে শুরু হয় খোরশেদের হস্তক্ষেপ, মামলার ভয় দেখিয়ে শুরু করে চাঁদাবাজি। সাধারণ মানুষের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে করে চাঁদাবাজি। কিছু দিন আগে আবুল কালামের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা কাটা তাঁরের বেরিকেট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।রাস্তাটি বন্ধ করায় ১৯টি পরিবার বন্ধিদশায় জীবন যাপন করছে। এমনকি গুচ্ছ গ্রাম থেকে নেমে আসা সরকারি রাস্তাটি দিয়ে যেন মানুষ চলতে না পারে ঐ রাস্তা গর্ত করে বেরিকেট দিয়ে রেখেছে ঐ যুবলীগ নেতা। ইউনিয়নে যে কারো সরকারি চাকুরী হলে ভেরিফিকেশন আটকিয়ে দেওয়ার কথা বলে চাঁদা আদায় করা, থানা পুলিশ তার পকেটে মাদক দিয়ে মামলা করার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা, সুদের ব্যবসা, অন্যের জমি জবরদখল করা তার কাজ। এলাকার মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে খোরশেদ আলমের অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, গত কয়েক দিন আগে খোরশেদ এর চাচা আবুল কালাম ও তার ছেলে হাসেমের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেখানে ছেলের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হয় বাবা। খোরশেদ বিষয়টি নিস্পত্তি না করে ছেলের পক্ষ নিয়ে তার বাপ-চাচা, ভাই, ভাইয়ের বউ সহ নিরীহ লোকজনকে আসামী করে মামলা করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। বাপ-ছেলের ঘটনায় দুইও পক্ষ মারামারি হয়েছে, মামলা হয়েছে। আমাকেও আসামী করা হয়েছে।এখন আইন আছে আদালত আছে যা হবো হবোই, আমি আদালতে দৌড়াবো।