সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 08:53:49 am, 2023-05-16 | দেখা হয়েছে: 17 বার।
আমিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু, সহসায় মিলছেনা সরকারী ভ্যাকসিন, আতংকিত কৃষকরা।
গত ৮ মে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওয়াকুড়া গ্রামের কৃষক আবু সাইদের প্রায় ৩০-৩২ হাজার টাকা মুল্যের একটি বকনা বাছুর মারা গেছে। গত বুধবার (৩ মে) একই গ্রামের কৃষক আবদুল মতিনের প্রায় ৮০-৮২ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাভীন গরু ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান মানিকের প্রায় ৫০-৫২ হাজার টাকা মুল্যের একটি ষাঁড় বাছুর গরু মারা গেছে।
রোগটি উপজেলাসহ পাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় আতংকিত কৃষক ও খামারিগণ। তারা এ রোগ প্রতিরোধে জরুরী ভিত্ততে আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশুর ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় ২ মাস আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের গরুর শরীরে লাম্পী স্কীন রোগের উপস্থিতি টের পান। রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে গুটি বের হয়ে শরীর ফুলে যায় পচন ধরে ও রক্ত বের হয়। গরুর শরীর গরম থাকে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না নিলেই মারা যায়।
উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের ক্ষদ্র খামারি কৃষাণী মরিয়ম বেগম জানান, তার খামারে ১১টি গরু আছে। এরমধ্যে দেড় বছর বয়সী একটি ষাড় বাছুর গরু লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ক্ষদ্র খামারি কৃষক আন্ধারুপাড়া গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ৩টি ষাঁড় গরু আক্রান্ত হলে চিকিৎসায় একটি সুস্থ হলেও বাকি ২ ষাঁড় গরুর চিকিৎসা এখন ও চলছে। এছাড়া ওই এলাকার কৃষক রুহুল আমীনের ১টি, মুনসুর আলীর ১টি ও পলাশীকুড়া গ্রামের কৃষাণী আম্বিয়া খাতুনের ১টি গরুর চিকিৎসা চলছে। তারা বলেন, লাম্পী স্কীন রোগ যাতে আর না ছড়ায় দ্রুত আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশুদেরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা দরকার।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফায়জুর রহমান বলেন, লাম্পী স্কীন ডিজিস মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এই রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুকে আলাদা করে মশারীর ভেতর রাখতে হবে। আর আক্রান্ত হওয়ার আগেই সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে নিজ উদ্যোগে বেসরকারি কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।