সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 11:08:01 pm, 2023-05-18 | দেখা হয়েছে: 7 বার।
আমিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কুত্তামারায় 'হরেখালী সেতুর' কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে গেছে ঠিকাদার। ফলে প্রায় ৩ বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অর্ধেক কাজ না করেই হদিস নেই ঠিকাদারের। ফলে কৃষি পন্য পরিবহন সহ স্থানীয়রা চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া কুত্তামারা নদীর ওপর ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ৭২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ৬০০ টাকার কাজটি পায় 'মেসার্স আকরাম কনট্রাকশন' নামে শেরপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সেতু নির্মাণে ২ পাড়ে ২টি পাকা ভিত ও নদীর মাঝখানে ২টি 'পায়ার ক্যাপ' নির্মাণ করার পর আর ঠিকাদারের কোন হদিস নেই।
নির্মাণাধীন সেতুটির পাশেই অস্থায়ী লোহার সেতু রয়েছে, যেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দৈনিক অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচলে লোহার সেতুটিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। স্থানে স্থানে জং ধরে ফুটো হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হরেখালী সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি এলাকাবাসির।
ওই এলাকার সাইফুল ইসলাম, নবী হোসেন ও কাজীমদ্দিন জানান, সেতু দিয়ে গয়রাকুড়া, ঘোড়ামারা, দিকপাড়া, পোড়াবাড়ী, ধান্নাবাড়ী ও বাথুরকান্দা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। নড়বড়ে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় অবর্ননীয় জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুত্তামারার সফিজুল ইসলাম ও সফিক মিয়া বলেন, ৪-৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। ক'দিন পর শুরু হবে বর্ষাকাল, তখন কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। বর্ষায় দুর্ভোগ বেড়ে যাবে এ আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আকরাম হোসেনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এলজিইডি'র উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। আবারও সময় নিয়েছে এবং দ্রুত কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছেন।