শেরপুরে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে দীর্ঘ ৫ মাস পর ২১ দিন পর লাশ উত্তোলন
Freelance
প্রকাশিত: 02:53:28 pm, 2023-05-21 |
দেখা হয়েছে: 55 বার।
নিউজ ডেস্ক: শেরপুর জেলা শহরের নওহাটা মহল্লায় গত বছর ২২ ডিসেম্বর ইয়াসিন আরাফাত (১৯) নামে এক যুবক নিজ বাসার শয়ন কক্ষে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যার ঘটনার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে দীর্ঘ ৫ মাস পর ২১ মে রোববার সকাল ১০টার দিকে নওহাটা পৌর কবরস্থান থেকে ওই যুবকের পচে যাওয়া দেহ থেকে হাড়গোড় উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রেরণ করেছে শেরপুরের সিআইডি পুলিশ।
সিআইডি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার নওহাটা মহল্লার বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান ওরফে টিক্কার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত তার ফুফাতো বোন নূরুন্নেছা ওরফে জান্নাতের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। পরে ইয়াসিন আরাফাত তার প্রেমিকা নুরুন্নেছা ওরফে জান্নাতকে বিয়ে করতে চাইলে তার ফুফা বাচ্চু মিয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এদিকে প্রেমিক ইয়াসিন আরাফাত তার প্রেমিকা নূরুন্নেছা ওরফে জান্নাতকে বিয়ে করতে না পেরে অবশেষে গত ২২/১২/২০২২ইং তারিখে রাতের কোন এক সময় তার নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহতা করে। এঘটনায় গত ৩/১/২০২৩ইং তারিখে ইয়াসিন আরাফাতের মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেমিকা নূরুন্নেছা জান্নাত ও তার বাবা বাচ্চু মিয়াসহ ওই পরিবারের ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ইয়াসিন আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনার সময় তার ফুফা বাচ্চু মিয়া তার ছেলে ওমরা হজে ছিলেন।
অপরদিকে মামলায় তদন্তকারী অফিসার সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো. হযরত আলী জানান, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আল আমিনের উপস্থিতিতে ওই যুবকের কবর থেকে পচে যাওয়া দেহ থেকে হাড়গোড় উত্তোলন করা হয় এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে রিপোর্টের জন্য প্রেরণ করা হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ইয়াসিন আরাফাতের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে তিনি এমনটাই জানান।