সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 04:42:46 pm, 2023-06-04 | দেখা হয়েছে: 29 বার।
মোঃ আজিনুর রহমান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী পাহাড়বাসীর বাড়ী ঘরে রাতদিন হাতির আক্রমণ। দিশেহারা পাহাড়িবাসী। হাতি হানা দেয় লোকালয়ে। মানুষ দৌড়ায় হাতির দল। এভাবেই দিন রাত হাতি মানুষের খেলা চলছে সীমান্ত এলাকায়।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি, শ্রীবরদী পাহাড়ি সীমান্তে বন্য হাতির তান্ডব যেন থামছেই না। হাতির দল আগে নেমে আসতো সন্ধ্যায়। এসব হাতির দল এখন আর সেই নিয়ম মানছে না। সারাদিন লোকালয়ের কাছেই জঙ্গলে অবস্থান করে। যখন মন চায় তখনই বেড়িয়ে পড়ে তারা। একটি দুটি নয়। ৪০/৫০টি হাতি একসাথে রাতদিন আক্রমণ করে-মানুষের বাড়ি ঘরে। ফসলের মাঠে। গাছপালায়। মৎস খামারে। তছনছ করে দেয় সব। এমনই ঘটনায় ৩/৪দিন ধরে হাতির দল অবস্থান করছে নালিতাবাড়ীর বাতকুচি, বুরুঙ্গা কালাপানি, লক্ষীকুড়া গ্রামের পাহাড়ে।
একাধিক দলে রয়েছে এসব হাতি। দুপুরের পর পরই এসব বন্যহাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে লোকালয়ে। মৎস খামারের পুকুরে নামতে চেষ্টা করে হাতির দল। মানুষ ও হাতির মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়ি জনপদের মানুষ। হাতি আতংকে কাটে তাদের সময়। কখন হাতি এসে যায় বাড়িতে এই ভয়ে পাহাড়ে বসবাসকারীরা বাড়ির আশপাশেই বসে থাকে সব সময়। হাতি নেমে আসলে উৎসুক মানুষের ভীড়ও চোখে পড়ার মতো। বাস্তবে বন্যহাতিকে এক নজর দেখতে ভীড় জমায় দর্শনার্থীরা। এভাবেই দিন রাত হাতি মানুষের খেলা চলছে পাহাড়ি অঞ্চলে।
ক্ষেতে ধান আবাদ করে হাতির কারণে ঘরে তুলতে পারে না মানুষ ধান। কাঁঠালের মৌসুম এখন। যদি খোঁজ পায় হাতি তবে খেয়ে সাবাড় করে দেয়। গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ করে দিচ্ছে হাতি। মৎসখামারের পুকুরে নেমে হাতি ধ্বংস করে দিচ্ছে মাছ। ঘরবাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে হাতির অত্যাচারে ঘর ছাড়া হয়েছে জসিম উদ্দীন, মালেকা খাতুন। মৎস খামার ধ্বংস করেছে হাতির দল উসমানের ও জসিম উদ্দীনের। হাতির আক্রমণে ধ্বংস হয়েছে মধুটিলা ইকোপার্কের শিশুপার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা। প্রতি বছর হাতির আক্রমণে মরছে মানুষ। সম্প্রতি হাতি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সমশ্চূড়া গ্রামের বিজয় সাংমার। এ ব্যাপারে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। বন বিভাগ দিচ্ছে ক্ষতি পূরণ। তবে হাতি মানুষের সহাবস্থান তৈরিতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। সীমান্তবাসীর দু:খ বন্যহাতি। পাহাড়িবাসী বাঁচতে চায় হাতির আক্রমণ থেকে।