সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 06:05:52 pm, 2023-08-27 | দেখা হয়েছে: 38 বার।
মোঃ আজিনুর রহমান, (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এতিমখানার এক এতিম শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে এক শিক্ষক। নানা কৌশলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী পৌরশহরের গড়কান্দা মহল্লায় ‘গড়কান্দা এতিমখানা’ নামে এই প্রতিষ্ঠানে ৩৫ জন শিক্ষার্থী নূরানি, নাজেরা ও হিফজ বিভাগে শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। সহপাঠিদের সাথে নাজেরা বিভাগে নিয়মিত পাঠদান করে আসছে কাপাসিয়া গ্রামের মৃত আ: রশিদের পুত্র মো: ওলি উল্লাহ(১২)। ওলি উল্লাহ সহপাঠিদের সাথে মাদরাসার মেঝে ঝাড়ু–দেয়। ঝাড়– শেষে হুজুর আবু নাঈম দেখতে পায় কিছু ময়লা রয়ে গেছে। এতে রাগান্বিত হয়ে হুজুর নাঈম শিক্ষার্থী ওলি উল্লাহর ডান হাতে বেত দিয়ে চারটি আঘাত করে। ঘটনার কয়েকদিন পর ওলির হাত ফুলে জখমটি দেখা যায়। টের পেয়ে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ গত ৪ আগস্ট ওলি উল্লাহকে ডাক্তার মশিউর রহমান মানিকের কাছে চিকিৎসা করান। ওলিকে বাড়িতে এবং হুজুরকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। পরে গত ১৭ আগস্ট থেকে ওই ছাত্রকে অর্থোপেডিক্স ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনির এর চিকিৎসাধীন রাখা হয়।
এদিকে এতিমখানা কতৃপক্ষ আঘাতকারী শিক্ষক আবু নাঈমকে চিকিৎসা সেবার খরচ নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বিদায় করে দিয়েছেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি জেনে গেলে দ্রুত ঘটনা ধামাচাপা দেন এতিমখানা কতৃপক্ষ। পিতাহারা ওলি উল্লাহর মা ও ভাইকে এমনভাবে বুঝ পরামশ্র্ দিয়ে দেন যাতে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকে।
এ বিষয়ে ওলি উল্লাহ ও তার ভাইয়ের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম ও মাদরাসা প্রধান মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-আমরা ওই হুজুরকে বিদায় করে
দিয়েছি। শিক্ষাথীকে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।