সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 10:13:35 am, 2021-04-06 | দেখা হয়েছে: 10 বার।
নিউজ ডেস্ক : ভারত রফতানি স্থগিত করায় টিকা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে টিকা পেলেও তৃতীয় ধাপে কোনো টিকাই পাওয়া যায়নি। এতে করে টিকা পেতে বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে বাংলাদেশ। এজন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ইউএনডিপির অর্থায়নে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে তিন কোটি করে ডোজ কেনার উদ্যোগ দ্রুত সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টিকা উৎপাদনের কাঁচামালের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে এবং ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অন্য কয়েকটি টিকা উদ্ভাবকদের কাছে পাঠানো চিঠিরও সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড টিকা তৈরিতে সক্ষম হলেও কাঁচামাল পাচ্ছে না। এসব উদ্যোগে এখনও সাড়া না মিললেও টিকার বিকল্প উৎস পাওয়ার আশা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ল্যাবের কেমিক্যাল অংশ গত বছরের মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। তবে বায়োলজিক্যাল অংশের কাজ বাকি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এটি করে দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। কারণ বিদেশে রফতানি করতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবে ওই টিকা তৈরি হতে হবে। টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হবে না। প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রমও বৃহস্পতিবার শুরু হবে। টিকার ৩০ লাখ ডোজ এপ্রিলের মধ্যে সরবরাহের জন্য সেরামের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমাদের হাতে যে পরিমাণ টিকা মজুদ আছে তা বিতরণের মধ্যেই মে মাসে চলে আসবে এবং ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞাও হয়তো উঠে যাবে।