সর্বশেষ সংবাদ
Freelance
প্রকাশিত: 11:29:26 pm, 2021-04-13 | দেখা হয়েছে: 9 বার।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপাড় শাখার অগ্রণী ব্যাংকে প্রবেশ করে আব্দুর রশিদ খাঁন (৭০) নামক একজন গ্রাহক থেকে ১লাখ টাকা সুকৌশলে ছিনিয়ে নেয়ার সময় ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা মন্টু মিয়া তাঁদের তিনজনকে পাকরাও করেন।পরে তাঁদেরকে দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন,মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার বহেয়াতলা গ্রামের লাল মিয়া ফকির এর ছেলে মোঃ খোকন,(৪৮) একই ঠিকানার মৃত মহি মাদবরের ছেলে ফারুক মিয়া (৪৭) অপরজন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার ভানেসরদী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে রবি মোল্লা(৬৫)।
ভুক্তভোগী অগ্রণী ব্যাকের গ্রাহক আব্দুর রশিদ খাঁন জানান,আমি সকাল ১১ থেকে সাড়ে ১১টার দিকে টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে আসি। টাকা উত্তোলন করে টাকা গণনার জন্য গ্রাহক চেয়ারে বসি। এমন সময় একজন অপরিচিত লোক এসে বলেন,চাচা টাকা ভালো করে গনে নেন,এক হাজার টাকার লাল নোট গুলো জাল হয় বেশি। এরপর আরেকজন এসে এখানে একটা নোট জাল মনে হয়, সে এসে বলে ওনার কাজে টাকা গুলো দেন সে জাল টাকা চিনে।এরপর অপরজন এসে বলে ভাই আপনি টাকা গুলো একটু দেখে দেন। এরপর একজন আমার হাত ধরে ১হাজার টাকা নোটের ১লাখ টাকার ব্যান্ডেলটি নিয়ে যায়। এরপর আমার আরও কিছু স্মরণ নেই।
ব্যাংক কর্মকর্তা মন্টু মিয়া জানান, গতকাল আমি অফিসিয়াল কাজে মুক্তার পুর শাখায় গিয়ে ছিলাম,সেখান থেকে একটা মহিলাকে বোকা বানিয়ে ৬৭ হাজার টাকা ওরা নিয়ে যায়। আমি সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে ওদের দুইজনকে চিনতে পারি। পরে ওদেরকে নজরে রাখি। আমাদের দিঘীরপাড় শাখার গ্রাহক আব্দুর রশিদ খাঁন যখন টাকা উত্তোলন করে গণনা করছে ঠিক তখন ওরা তিনজন তাঁর পাশে গিয়ে বসে তাঁর হাতের শিরা ধরে কয়েকটি ঘঁষা দিয়ে অচেতন করে ফেলে।এরপর টাকা নিয়ে বেড় হয়ে যাবার সময় ওদের তিনজনকে ধরে ফেলি।
এরপর দিঘীরপাড় শাখা থেকে মুক্তার পুর শাখায় ফোন দিলে ওই মহিলা এসে ওদের তিনজনকে সনাক্ত করেন। ওই মহিলা গতকাল এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে দিঘীরপাড় অগ্রণী ব্যাংক শাখায় প্রতারিত আব্দুর রশিদ খাঁন দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করলে তাঁর প্রাপ্ত টাকা তাঁকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এব্যপারে দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জুয়েল হোসেন জানান,যেহেতু ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ খাঁন এখানে অভিযোগ দায়ের করেননি,তাই মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মুক্তারপুরের ওই মহিলা সাধারণ ডায়েরি করায় সদর থানায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়।